আজ শুক্রবার, ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে সিরিয়ায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদী কফিন সমাবেশ

না.গঞ্জে সিরিয়ায় গণহত্যা

না.গঞ্জে সিরিয়ায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদী কফিন সমাবেশনা.গঞ্জে সিরিয়ায় গণহত্যা

সংবাদচর্চা ডেস্ক:

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে সিরিয়ায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদী কফিন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (৫মার্চ) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে প্রতিবাদী সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

গণহত্যায় নিয়োজিত সিরিয়া ও তার মিত্র বাহিনীর উপর চাপ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক ফোরামকে এগিয়ে আসতে হবে এবং মানবতা বিরোধী যে কোন যুদ্ধবাজ নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন এই দুটি দাবিকে সামনে রেখে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

ছাত্র ফেডারেশনের জেলা সভাপতি শুভ দেবের সভাপিতত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক তরিকুল সুজন, ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রিচার্ড, জেলা নারী সংহতির সম্পাদক পপি রাণী সরকার, ছাত্র ফেডারেশন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি কাজী আশিক, মহানগরের আহ্বায়ক ফারহানা মানিক মুনা ও ফতুল্লা থানার সম্পাদক সাকিব হোসেন হৃদয়।

সমাবেশে রফিউর রাব্বি তার বক্তব্যে বলেন, আমেরিকা ও ন্যাটো সিরিয়ার তেল সম্পদ ও সিরিয়াকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রন নেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।

যার ফলাফল হিসেবে দেখছি আফগানিস্তানে রাশিয়াকে পরাস্ত করার জন্য আল কায়দা গঠন করেছিল এখন আসাদ সরকারকে পরাস্ত করার জন্য আই এস কে সৃষ্টি করেছে।

আর বাশার আল আসাদ সেই বিদ্রোহী ও জঙ্গী দমনের নামে রাশিয়া ও ইরানের সহযোগীতায় গত ৭ বছর যাবৎ হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ স্বরাচারী ভূমিকার বিরুদ্ধে সিরিয়ার সাধারণ জনগণের গনতান্ত্রিক লড়াইকে ন্যায্য উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানান নারায়ণগঞ্জের এই সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব।

মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, সারা বিশ্বে মার্কিন সা¤্রাজ্য বিস্তারের যে ধারাবহিক ষড়যন্ত্র সিরিয়ার এই গণহত্যা সেই ষড়যন্ত্রের অংশ। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে আজ আমরা মায়ানমার,ফিলিস্তিন আর সিরিয়ার বাইরে কোথাও দৃষ্টি দিতে পারছি না।

সিরিয়ায় বিদ্রোহী দমনের নামে সে দেশের সরকার একটি সম্পূর্ণ অঞ্চলকেই ধ্বংশ করে দিচ্ছে। যেখানে মৃত্যু বরান করছে শত শত শিশু। অথচ এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ দেখও মুখে কুলুপ এটেছে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো।

 

নারী নেত্রী পপি রাণী সরকার বলেন, যে কোন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয় নারী এবং শিশুরা। এটা যেমন আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে দেখেছি তেমনি দেখেছি মায়ানমার, ফিলিস্তিন ও সর্বশেষ সিরিয়ায়। বাংলাদেশ সরকার এই মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ অবস্থান নেবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

সমাবেশের শুরুতে একটি প্রতীকি কফিন সমাবেশ স্থলে নিয়ে আসে ছাত্র ফেডারেশন নেতাকর্মীরা। একের পর এক যুদ্ধের মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীকে কফিন বন্দী করার যে ষড়যন্ত্র সেই ষড়যন্ত্রকে ধিক্কার জানিয়েই কফিন সমাবেশের আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ